গঠনতন্ত্র
অনুচ্ছেদ ১ঃ সংগঠনের নাম, ঠিকানা ও শুরুর তারিখ
ধারা কঃ সংগঠনটি বাংলায় “বন্ধু” এবং ইংরেজিতে “Bondhu” নামে পরিচিতি পাবে।
ধারা খঃ এটি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, কোটবাড়ী, কুমিল্লা-৩৫০৬ এ অবস্থিত।
ধারা গঃ এর কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে ২৯/১০/২০১৫ইং হতে শুরু হয়েছে।
ধারা ঘঃ এটি একটি অলাভজনক, অরাজনৈতিক এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
অনুচ্ছেদ ২ঃ সংগঠনের উদ্দেশ্য
ধারা কঃ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা-কর্মাচারীদের জরুরি রক্তের প্রয়োজনে রক্ত সরবরাহে যথাসাধ্য চেষ্টা করা;
ধারা খঃ বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকা তথা সমগ্র কুমিল্লায় রক্তের ঘাটতি পূরণে যথাসাধ্য চেষ্টা করা;
ধারা গঃ অসহায় এবং মূমুর্ষূদের মাঝে বিনামূল্যে রক্তের সরবরাহ করা;
ধারা ঘঃ প্রাপ্ত বয়স্ক এবং রক্ত দিতে সক্ষম এমন ব্যাক্তিবর্গকে রক্তদানে উৎসাহিত করা;
ধারা ঙঃ স্বেচ্ছায় প্রাপ্ত রক্তের সর্বোত্তম ব্যবহার করা;
ধারা চঃ পড়ালেখার পাশাপাশি সমাজের সকলকে রক্তের প্রয়োজনীয়তা জানিয়ে সচেতন করা;
ধারা ছঃ বিভিন্ন রক্তদান কর্মসূচী এবং বিনা মূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করার মাধ্যমে সমাজের সকলের সাথে ভ্রাতৃত্যের সম্পর্ক তৈরি করা;
ধারা জঃ মহৎ কার্যক্রমের মাধ্যমে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি করা।
অনুচ্ছেদ ৩ঃ কার্যপ্রণালী
ধারা কঃ ”বন্ধু,কুবি” সংগঠনটিকে সুশৃঙ্খল ভাবে পরিচালানার জন্য একটি উপদেষ্টা পরিষদ এবং একটি পরিচালনা পরিষদ থাকবে।
ধারা খঃ নয় (৯) সদস্যবিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ এবং তেত্রিশ (৩৩) সদস্য বিশিষ্ট পরিচালনা পরিষদ থাকবে।
ধারা গঃ সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করবে তেত্রিশ (৩৩) সদস্য বিশিষ্ট পরিচালনা পরিষদ
পরিচালনা পরিষদ এর পদগুলো হল-
- সভাপতি এক (১) জন
- সহ-সভাপতি (৩ জন)
- সাধারণ সম্পাদক এক (১) জন
- যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তিন (৩) জন
- সাংগঠনিক সম্পাদক তিন (৩) জন
- অর্থ সম্পাদক এক (১) জন
- সহ-অর্থ সম্পাদক এক (১) জন
- প্রচার সম্পাদক এক (১) জন
- সহ-প্রচার সম্পাদক এক (১) জন
- দপ্তর সম্পাদক এক (১) জন
- প্রকাশনা সম্পাদক এক (১) জন
- সহ-প্রকাশনা সম্পাদক এক (১) জন
- কার্যকরী সদস্য পনের (১৫) জন
ধারা ঘঃ সংগঠনটির কার্যক্রম সঠিক ও সুচারুভাবে পরিচালনার জন্য কার্যকরী কমিটি প্রতি মাসের শেষ সপ্তাহে একটি মিটিং করবে।
অনুচ্ছেদ ৪ঃ উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচন প্রক্রিয়া
ধারা কঃ পরিচালনা পরিষদ নির্বাচনের পর তারা একটি উপদেষ্টা পরিষদ নির্ধারণ করবে।
ধারা খঃ উপদেষ্টা পরিষদের মেয়াদ হবে এক (১) বছর।
অনুচ্ছেদ ৫ঃ পরিচালনা পরিষদ নির্বাচন প্রক্রিয়া
ধারা কঃ আহ্ববায়ক কমিটির মাধ্যমে প্রথম কমিটি করা হবে;
ধারা খঃ বিদ্যমান কমিটির আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তি পরিচালনা পরিষদ গঠিত হবে;
ধারা গঃ পরিচালনা পরিষদের মেয়াদ হবে এক (১) বছর;
ধারা ঘঃ মেয়াদপূর্তির ১৫ দিন পূর্বে নতুন পরিচালনা পরিষদ নির্বাচন করতে হবে;
ধারা ঙঃ যারা কমিটি থেকে চলে যাবেন তারা সংগঠনের আজীবন সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেন।
অনুচ্ছেদ ৬ঃ কার্যকরী অথবা পরিচালনা পরিষদের দায়-দায়িত্ব
ধারা কঃ সংগঠনের সভাপতির করণীয় –
- সাধারণ সভা, বিশেষ সভা এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করা।
- বছরের শুরুতেই সারা বছরের কার্যক্রম নির্ধারণ করা এবং আলোচনা করে এসকল কার্যক্রমের গ্রহণযোগ্যতা নির্ধারণ করা এবং সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী সামনে এগিয়ে যাওয়া।
- যথাযথভাবে মিটিং পরিকল্পনা (এজেন্ডা তৈরি, ব্যবস্থাপানা) করে সঠিক সময়ে মিটিং শুরু ও শেষ করা।
- সংগঠনের কার্য বছর শুরুর সাথে সাথে প্রাক্তন সভাপতি এবং বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের সাথে মতবিনিময় করা এবং সম্ভাব্য প্রকল্পসমূহ নিয়ে আলোচনা করা।
- সংগঠনের প্রয়োজনে যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।
- সদস্যপদ উন্নয়ন এবং সদ্যদের নেতৃত্ব ও দক্ষতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালানো। সংগঠনের প্রশাসনিক কার্যাবলী ও আয় ব্যায়ের হিসাব তদারকি করা।
ধারা খঃ সহ-সভাপতির করণীয় –
- সভাপতির অনুপস্থিতিতে সকল সভা, অনুষ্ঠান অথবা সমাবেশে দায়িত্ব পালন করা, একাধিক সহ- সভাপতির ক্ষেত্রে দক্ষতা ও বয়োজেষ্ঠতার ভিত্তিতে তার (সভাপতি) দায়িত্ব নেয়া।
- কর্ম বৎসরের কাজের লক্ষ, প্রকল্প ও কর্মসূচী সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা রাখা।
- সভাপতি কর্তৃক অর্পিত যে কোন দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করা।
ধারা গঃ সাধারণ সম্পাদক এর করণীয় –
- সকল সভায় কার্যবিবরণী তৈরী ও সংরক্ষণ করা, সংগঠনের বাৎসরিক প্রতিবেদন তৈরী করা। সংগঠনের ফাইল ও রেজিষ্টার যথাযথভাবে সংরক্ষন করা।
- রক্ত দাতা ও রক্তগ্রহীতার সকল তথ্য (নাম, ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার, রোগীর সমস্যা, সময় এবং স্থান) সংগ্রহ করা।
- সকল ধরনের তথ্যের যথাযথ ব্যবহার এবং সর্বোচ্চ গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে।
- সংগঠনের মাসিক সভা, বিশেষ সভা এবং অন্যান্য যে কোনো অনুষ্ঠানের নোটিশ তৈরী করতে হবে তা সকলকে জানিয়ে দিতে হবে।
ধারা ঘঃ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এর করনীয় –
- সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতে তার দায়িত্ব সমূহ পালন করা।
- সাধারণ সম্পাদকের সকল কাজে সহযোগীতা করা ও সভাপতি কৃর্তক আরোপকৃত যে কোন দায়িত্ব পালন করা।
- বয়োজেষ্ঠতার ভিত্তিতে (একাধিক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এর ক্ষেত্রে) সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেয়া।
ধারা ঙঃ সাংগঠনিক সম্পাদক এর করনীয় –
- সংগঠনের বিভিন্ন কাগজ, প্রশাসনিক দলিলাদি তৈরী করা।
- সংগঠনের সুনাম বৃদ্ধির জন্য কাজ করা ও সদস্য বৃদ্ধির জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
- সংগঠনের ভিতরে সকলকে তার দায়িত্ব সম্পর্কে অবহিত করা।
ধারা ছঃ অর্থ- সম্পাদক এর করণীয় –
- সকল ধরনের আর্থিক লেনদেনের হিসাব রাখা।
- প্রতি বছরের আয়-ব্যয় নির্ণয় করতে হবে/বাজেট ঘোষনা করতে হবে।
- প্রতিটি সভায় আর্থিক বিষয়ে তথ্য প্রদান করা। আয় ও ব্যয় এর উৎস সমূহ সকল কার্যকরী কমিটির সদস্যকে অবহিত করা ও তহবিল বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ করতে হবে।
ধারা জঃ সহ-অর্থ সম্পাদক এর করণীয় –
- অর্থ সম্পাদক এর অবর্তমানে তার সকল কাজ করা।
ধারা ঝঃ দপ্তর সম্পাদক এর করণীয় –
- মিটিং য়ের সকল তথ্য সংগ্রহ করা।
- রক্তদাতার তথ্য এবং রক্তদানের তথ্য সংগ্রহ করা।
- অন্যান্য কাগজাদি এবং ফাইলপত্র সংরক্ষণ করা।
ধারা ঞঃ প্রচার সম্পাদক এর করণীয় –
- সংগঠনের কার্যক্রম কিভাবে সকল স্তরে পৌছানো যায় তা নিয়ে কাজ করা।
- নানাবিধ প্রচারণার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় সহ সমাজের সকলের নিকট এর কার্যক্রম ছড়িয়ে দেয়া।
- মুদ্রন সংক্রান্ত সকল কাজ গুলো প্রকাশনা সম্পাদককে দিয়ে করিয়ে নেয়া।
ধারা চঃ সহ-প্রচার সম্পাদক এর করনীয় –
- প্রচারের কাজে প্রচার সম্পাদককে সর্বাত্মক সহযোগীতা করা।
- প্রচার সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তার সকল কাজ করা।
ধারা ছঃ প্রকাশনা সম্পাদক –
- প্রকাশনা বা মুদ্রন সংক্রান্ত কাজ সভাপতির দিক নিদের্শনা অনুযায়ি সম্পন্ন করা।
- বাৎসরিক কার্যক্রমের একটি বিবরনী তৈরী করা, যা সংগঠনের সকল কার্যক্রম তুলে ধরবে।
অনুচ্ছেদ ৭ঃ সদস্য সংগ্রহ পদ্ধতি
ধারা কঃ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন শিক্ষার্থী এই সংগঠনের সদস্য হতে পারে এবং পরবর্তিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে ;
ধারা খঃ সদস্য হওয়ার জন্য অবশ্যই একজন শিক্ষার্থী বিশ (২০) টাকা জমা দিয়ে একটি ফরম সংগ্রহ করবে ।
অনুচ্ছেদ ৮ঃ সদস্য সংগ্রহ পদ্ধতি
ধারা কঃ প্রতি মাসে সদস্য ফি নূন্যতম বিশ (২০) টাকা ।
ধারা খঃ ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করবে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক , এবং অর্থ- সম্পাদক ।
ধারা গঃ সকল ধরনের আর্থিক বিষয়াবলি উপদেষ্টা মন্ডলির তত্ববধানের এবং সভাপতির আদেশক্রমে অর্থ সম্পাদক নিয়ন্ত্রন করবে।
ধারা ঘঃ প্রয়োজনে আর্থিক অনুদান গ্রহন করা যাবে।
অনুচ্ছেদ ৮ঃ শাস্তি ও জরিমানার বিধি নিষেধ সমূহ
ধারা কঃ পরিচালনা পর্ষদের কোনো সদস্য পরপর ০৩ (তিন) সাধারণ সভায় অনুপস্থিত থাকলে সভায় প্রস্তাব তুলে সর্বসম্মতিক্রমে তার সদস্যপদ ও কার্যপরিচালনার ভার থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে।
ধারা খঃ সংগঠনের কোন সদস্য অথবা যে কেউ এর কোন ক্ষতি করলে পরিচালনা পর্ষদ ও উপদেষ্টা পর্ষদের সিদ্ধান্তক্রমে সদস্যপদ বাতিল ও প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে শাস্তির আবেদন করা হবে।
ধারা গঃ কোন সদস্য কুরূচিপূর্ণ আচরণ করলে সভায় তার সদস্যপদ বাতিল অথবা জরিমানা করা হবে।
ধারা ঘঃ রাষ্টদ্রোহী আচরনের জন্য প্রশাসনের নিকট হস্তান্তর করে সদস্য পদ বাতিল করা হবে।
ধারা ঙঃ কোনো সদস্য যদি গঠনতন্ত্র পরিপস্থি কোনো কাজে কিংবা দূনীতির সাথে জড়িয়ে পড়ে তবে তাকে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করার সুযোগ দিয়ে সর্বসম্মতিক্রমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অনুচ্ছেদ ৯ঃ গঠনতন্ত্র সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজন
ধারা কঃ প্রয়োজন হলে সভাপতি মাসিক সাধারণ সভা বা বিশেষ সভা আহবান করে কার্যনির্বাহী সদস্য ও উপদেষ্টাদের সম্মতি নিয়ে গঠনতন্ত্র সংশোধন করতে পারবে।
ধারা খঃ সংশোধিত গঠনতন্ত্র অবশ্যই প্রশাসনের নিকট জামা দিতে হবে।
প্রতিষ্ঠাতাঃ
সাইদুল আল-আমীন
সহকারী অধ্যাপক, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়